দিনাজপুর জেলা

Dinajpur District of Rangpur Division in Bangladesh

দিনাজপুর জেলা বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রংপুর বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। পূর্বে এই এলাকায় মূর্খ লোকদের বসবাস ছিল যাদের আঞ্চলিক ভাষায় গন্ড বলা হত। এজন্য এই এলাকাকে গন্ডোয়ানাল্যান্ড বলা হত।


নামকরণের ইতিহাস :

জনশ্রুতি আছে জনৈক দিনাজ অথবা দিনারাজ দিনাজপুর রাজপরিবারের প্রতিষ্ঠাতা। তার নামানুসারেই রাজবাড়ীতে অবস্থিত মৌজার নাম হয় দিনাজপুর। পরবর্তীতে ব্রিটিশ শাসকরা ঘোড়াঘাট সরকার বাতিল করে নতুন জেলা গঠন করে এবং রাজার সম্মানে জেলার নামকরণ করে দিনাজপুর।

ভৌগোলিক সীমানা :

দিনাজপুর জেলার উত্তরে ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড় ও নীলফামারী জেলা, দক্ষিণে জয়পুরহাট জেলা ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, পূর্বে রংপুর ও নীলফামারী জেলা এবং পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যর পশ্চিম দিনাজপুর (উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাদ্বয়) অবস্থিত। এই জেলার মোট আয়তন ৩৪৩৭.৯৮ বর্গ কিলোমিটার। বার্ষিক সর্বোচ্চ গড় তাপমাত্রা ৩৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বার্ষিক বৃষ্টিপাত ২৫৩৬ মিলিমিটার। প্রধান নদীসমূহ পূনর্ভবা, আত্রাই।

প্রশাসনিক এলাকাসমূহ : 

দিনাজপুর জেলার উপজেলা গুলি হল:
  • বিরামপুর উপজেলা
  • বীরগঞ্জ উপজেলা
  • বোচাগঞ্জ উপজেলা
  • ফুলবাড়ী উপজেলা
  • চিরিরবন্দর উপজেলা
  • ঘোড়াঘাট উপজেলা
  • হাকিমপুর উপজেলা
  • কাহারোল উপজেলা
  • খানসামা উপজেলা
  • দিনাজপুর সদর উপজেলা
  • নবাবগঞ্জ উপজেলা
  • পার্বতীপুর উপজেলা
  • বিরল উপজেলা
চিত্তাকর্ষক স্থান :

কয়লাখনি 
কান্তজীর মন্দির 
রামসাগর 
রাজবাড়ি 
স্বপ্নপূরী 
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় 

নদ-নদী :

দিনাজপুর জেলায় প্রায় ১২টি নদী রয়েছে। নদীগুলো হচ্ছে আত্রাই নদী, কাঁকড়া নদী, করতোয়া নদী, আপার করতোয়া নদী, ইছামতি নদী (দিনাজপুর), খড়খড়িয়া নদী, চিরনাই নদী, ছোট যমুনা নদী, টাঙ্গন নদী, ঢেপা নদী, নলশিশা নদী, পুনর্ভবা নদী এবং যমুনেশ্বরী নদী।

বিশিষ্ঠ ব্যক্তিত্ব :

  • বেগম খালেদা জিয়া
  • হাজীখুরশীদ জাহান হক
  • মোহাম্মদ দানেশ
  • বেগম খালেদা জিয়া
  • খুরশীদ জাহান হক
  • হাজী মোহাম্মদ দানেশ
  • সাহিত্যিক শেখ ফজলুল করিম
  • ফকির মজনুশাহ, আলহাজ্ব মোহাম্মদ তৈমুর
স্বভাব কবি মোঃ নূরুল আমিন, পন্ডিত মহেশচন্দ্র তর্কচুড়ামনি, জেহের উদ্দিন মোক্তার, পীর শাহ সুফি মতলুব মিয়া, নাট্যশিল্পী ও নাট্যকার শ্রী শিবপ্রসাদ কর, খাঁন বাহাদুর মাহতাব উদ্দিন আহমদ, অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল কাফি, সাবেক এমপি.[৪][৫], শ্রী মাধব চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, মাওলানা আয়েন উদ্দিন আহমদ, ডাঃ সুকুমার সেন গুপ্ত, অধ্যাপক আব্দুল বাকী, জয়নব রহিম, ডাক্তার সারদা কান্ত রায়, ডাঃ হাজী মফিজউদ্দিন আহমদ, কবি নূর মোহাম্মদ, মির্জা কাদের বকস্, গোলাম রব্বানী আহমেদ, চারণ কবি আমিরুদ্দিন সরকার, ডাঃ আনোয়ারা খাতুন, রহিম উদ্দিন আহমদ, ডাক্তার নইমউদ্দিন আহমদ, লায়লা সামাদ, এ বি এম আব্বাস, সুসাহিত্যিক আমিনুল হক (খাঁন বাহাদুর), হাসান আলী, ফুটবলের যাদুকর সামাদ, আলহাজ্ব হেমায়ের আলী টি.কে, মহর্ষি ভুবন মোহন কর, তাজউদ্দিন আহমদ, ওস্তাদ কসির উদ্দিন আহমদ, নুরুল হুদা চৌধুরী, সেরাজউদ্দিন চৌধুরী, ইয়াসির উদ্দিন আহমদ চৌধুরী, মেহেরাব আলী চৌধুরী, হাজী আব্দুর রউফ, অধ্যক্ষ তসিরউদ্দিন আহমদ, ডক্টর গোবিন্দ চন্দ্র দেব, ফজলে হক, আফতাবউদ্দিন চৌধুরী, গুরুদাশ তালুকদার, ডক্টর আফতাব আহম্মদ রহমানী, মাওলানা জহির উদ্দিন নূরী, ডাঃ ওয়াসিমুদ্দিন খাঁন, খতিব উদ্দিন আহমেদ, এস এ বারী, এ্যাডভোকেট গোলাম রহমান, অধ্যাপক ইউসুফ আলী, মইন উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, পন্ডিত গোপাল চন্দ্র ভট্টাচার্য, শহীদ সাংবাদিক গোলাম মোস্তফা, কবি আঃ কাঃ শঃ নূর মোহাম্মদ, শহীদ মেজর মাহবুব (বীর উত্তম), কমরেড মোহাম্মদ ফরহাদ, খাঁন বাহাদুর একিনউদ্দিন আহমদ, শামসুজ্জোহা মানিক লেঃ জেঃ (অবঃ) মাহাবুবুর রহমান