জামালপুর জেলা

Jamalpur District of Mymensingh Division in Bangladeshবাংলাদেশের উত্তর-মধ্যাংশের ময়মনসিংহ বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। ২০১৫ পর্যন্ত এটি ঢাকা বিভাগের অন্তর্ভুক্ত ছিল। পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত। বিশেষ করে কৃষি পণ্যের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য কেন্দ্র। এটি রেল পথে ময়মনসিংহ, জগন্নাথগঞ্জ ঘাট, এবং বাহাদুরাবাদ ঘাট ও ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, এবং মেঘালয় (ভারত) এর সঙ্গে রাস্তা দ্বারা সংযুক্ত। কৃষি প্রধান এ অঞ্চলে মূলত প্রধান ফসলের মধ্যে ধান, পাট, আখ, সরিষা বীজ, চিনাবাদাম, এবং গম হয়।

নামকরণের ইতিহাস :

ঐতিহাসিক সূত্রে জানাযায়, দিল্লির সম্রাট আকবরের রাজত্বকালে (১৫৫৬- ১৬০৫) হযরত শাহ জামাল (রহ.) নামে একজন ধর্মপ্রচারক ইয়েমেন থেকে ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে ২০০ অনুসারী নিয়ে এ অঞ্চলে এসেছিলেন। পরবর্তীতে ধর্মীয় নেতা হিসাবে দ্রূত তার প্রাধান্য বিস্তার লাভ করে। ধারনা করা হয়, শাহ জামাল-এর নামানুসারে এই শহরের নামকরণ হয় জামালপুর। ১৯৭১ সালে ১০ ডিসেম্বর জামালপুর হানাদার বাহিনী মুক্ত হয়। ১৯৭৮ সালে ২৬ ডিসেম্বর জামালপুরকে বাংলাদেশের ২০ তম জেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

প্রশাসনিক এলাকাসমূহ :

জামালপুর জেলা ৭টি উপজেলার সমন্বয়ে গঠিত; এগুলো হলোঃ
  • ইসলামপুর
  • জামালপুর সদর
  • দেওয়ানগঞ্জ
  • বকশীগঞ্জ
  • মাদারগঞ্জ
  • মেলান্দহ
  • সরিষাবাড়ি
বিবরণ :
জনসংখ্যা ২৩,৮৪,৮১০ জন; পুরুষ ৫০.৫৮%, মহিলা ৪৯.৪২%; মুসলিম ৯৭.৭৪%, হিন্দু ১.৯৮%, খ্রিষ্টান ০.০১%, বৌদ্ধ ০.০৪% এবং অন্যান্য ০.১৪%; উপজাতিগোষ্ঠী: গারো, হদি, কুর্মী এবং মাল অন্যতম। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান: মসজিদ ৪২০২ টি, মন্দির ৪৪ টি, গীর্জা ৩৯, সমাধি ১৩, সবচেয়ে সুপরিচিত শৈলেরকান্ধা জামে মসজিদ, গৌরীপুর কাঁচারী জামে মসজিদ, শাহ জামাল (রা:) সমাধি, শাহ কামাল (রা:) এবং দয়াময়ী মন্দির।

ভৌগোলিক সীমানা :

জামালপুর জেলার উত্তরে কুড়িগ্রাম জেলা এবং শেরপুর জেলা, দক্ষিণে টাঙ্গাইল জেলা, পূর্বে শেরপুর জেলা ও ময়মনসিংহ জেলা এবং পশ্চিমে বগুড়া জেলা ও যমুনা নদী অবস্থিত।

শিক্ষা 

শিক্ষার গড় হার ৩৯.৫৫%; যার মধ্যে পুরুষ ৪১.১% ও মহিলা ৩৫.৯%। এখানকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান - বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় - ১ টি,
মেডিকেল কলেজ - ১ টি,
সরকারী কলেজ - ৫ টি,
বেসরকারী কলেজ - ২০ টি,
সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় - ৭ টি,
বেসরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয় - ২২৪ টি,
মাদ্রাসা - ১১৩ টি,
জুনিয়র হাইস্কুল - ৩৮ টি,
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় - ৫৮৮ টি,
বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় - ৩৯০,
কিন্ডার গার্টেন স্কুল - ১৩,
আইন কলেজ - ১ টি,
হোমিওপ্যাথি কলেজ - ১ টি,
কৃষি গবেষণা কেন্দ্র - ১ টি।

চিত্তাকর্ষক স্থান :

শাহ জামাল-এর মাজার - জামালপুর সদর;
গারো পাহাড়ে, লাউচাপড়া পাহাড়িকা বিনোদন কেন্দ্র :- বকশীগঞ্জ উপজেলায় ।
মুক্তিযুদ্ধে কামালপুর ১১ নং সেক্টর :
কামালপুর স্থলবন্দর :
বকশীগঞ্জ বাণিজ্যিক কেন্দ্র ।
বকশীগঞ্জ জুট ষ্পিনার্স মিল লিঃ ও লেদার মিল লিঃ
দয়াময়ী মন্দির - জামালপুর শহর ।
যমুনা ফার্টিলাইজার ফ্যাক্টরি - তারাকান্দি, সরিষাবাড়ী;
জিল বাংলা চিনিকল - দেওয়ানগঞ্জ;
যমুনা গার্ডেন সিটি - রুদ্রবয়ড়া, সরিষাবাড়ি।