নীলফামারী জেলা
নামকরণের ইতিহাস :
দুই শতাধিক বছর পূর্বে এ অঞ্চলে নীল চাষের খামার স্থাপন করে ইংরেজ নীলকরেরা। এ অঞ্চলের উর্বর ভূমি নীল চাষের অনুকূল হওয়ায় দেশের অন্যান্য এলাকার তুলনায় নীলফামারীতে বেশি সংখ্যায় নীলকুঠি ও নীল খামার গড়ে ওঠে। ঊণবিংশ শতাব্দীর শুরুতেই দুরাকুটি, ডিমলা, কিশোরগঞ্জ, টেঙ্গনমারী প্রভৃতি স্থানে নীলকুঠি স্থাপিত হয়।[৩] সে সময় বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলের মধ্যে নীলফামারীতেই বেশি পরিমাণে শস্য উৎপাদিত হতো এখানকার উর্বর মাটির গুণে। সে কারণেই নীলকরদের ব্যাপক আগমন ঘটে এতদঅঞ্চলে। গড়ে ওঠে অসংখ্য নীল খামার। বর্তমান নীলফামারী শহরের তিন কিলোমিটার উত্তরে পুরাতন রেল স্টেশনের কাছেই ছিল একটি বড় নীলকুঠি। তাছাড়া বর্তমানে অফিসার্স ক্লাব হিসেবে ব্যবহৃত পুরাতন বাড়িটি ছিল একটি নীলকুঠি।ধারণা করা হয়, স্থানীয় কৃষকদের মুখে ‘নীল খামার’ রূপান্তরিত হয় ‘নীল খামারী’তে। আর এই নীলখামারীর অপভ্রংশ হিসেবে উদ্ভব হয় নীলফামারী নামের।
ভৌগোলিক সীমানা :
রাজধানী ঢাকা থেকে উত্তর পশ্চিম দিকে প্রায় ৪০০ কিঃমিঃ দুরে ১৬৪৩.৪০-বর্গ কিলোমিটার আয়তন বিশিষ্ট এ জেলার অবস্থান,যা কর্কটক্রান্তি রেখার সামান্য উত্তরে অবস্থিত। এ জেলার পূর্বে রংপুর জেলা ও লালমনির হাট জেলা, দক্ষিণে রংপুর জেলা ও দিনাজপুর জেলা,পশ্চিমে দিনাজপুর জেলা ও পঞ্চগড় জেলা এবং উত্তরে ভারতের জলপাইগুড়ি জেলা।
প্রশাসনিক এলাকাসমূহ :
মোট ৬ টি উপজেলা নিয়ে নীলফামারী জেলা:
- নীলফামারী সদর উপজেলা
- ডোমার উপজেলা
- ডিমলা উপজেলা
- জলঢাকা উপজেলা
- কিশোরগঞ্জ উপজেলা
- সৈয়দপুর উপজেলা
পৌরসভা
এই জেলায় মোট ৪ টি পৌরসভা- নীলফামারী পৌরসভা
- সৈয়দপুর পৌরসভা
- ডোমার পৌরসভা
- জলঢাকা পৌরসভা
নীলফামারী জেলার অন্যতম প্রধান অর্থকরী ফসল ভুট্টা ও মরিচ। জেলার ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার তিস্তা নদীর অববাহিকায় প্রচুর ভুট্টার চাষ হয়। ডোমার, ডিমলায় মরিচের চাষ হয়। এছাড়া আলু, ধান, গম, সরিষা প্রচুর পরিমাণে উৎপাদিত হয়।
চিত্তাকর্ষক স্থান :
- নীলসাগর
- ধর্মপালের গড
- তিস্তা ব্যারেজ
- হযরত শাহ কলন্দর মাজার
- হরিশচন্দ্রের পাঠ
- ময়নামতির দূর্গ
- ভীমের মায়ের চুলা
- কুন্দুপুকুর মাজার
- উত্তরা ইপিজেড
- সৈয়দপুর বিমানবন্দর
- সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা
- ডিমলা রাজবাড়ী
- শাহ কলন্দর ইসলামী ব্যক্তিত্ব
- কাজী কাদের, সাবেক মন্ত্রী (পাকিস্তান আমল)
- মশিউর রহমান (যাদু মিয়া) সাবেক মন্ত্রী
- শহীদ জননী জাহানারা ইমাম
- খয়রাত হোসেন, সাবেক মন্ত্রী
- বিচারপতি মোস্তফা কামাল, সাবেক প্রধান বিচারপতি
- শফিকুল গনি স্বপন, সাবেক মন্ত্রী
- মহেশ চন্দ্র রায়, উত্তরবঙ্গের বিখ্যাত ভাওয়াইয়া গানের শিল্পী
- হরলাল রায়, ভাওয়াইয়া শিল্পী
- দেওয়ান কামাল আহমেদ
- রথীন্দ্রনাথ রায়, ভাওয়াইয়া শিল্পী
- আসাদুজ্জামান নূর, নাট্য ব্যক্তিত্ব
- আনিসুল হক, লেখক, নাট্যকার ও সাংবাদিক
- বেবি নাজনিন, কন্ঠশিল্পী
- জেবেল রহমান গনি, রাজনীতিবিদ
0 Comments