রাঙ্গামাটি জেলা

নামকরণের ইতিহাস :
মুসলিম বিজয়ের পূর্বে রাঙামাটি ত্রিপুরা ও আরাকানের রাজাদের যুদ্ধক্ষেত্র ছিল। ১৬৬৬ সালে এই অঞ্চল মুঘলদের দখলে আসে। ১৭৬০-৬১ সালে এটি ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছে ইজারা দেওয়া হয়। ১৭৩৭ সালে শের মোস্তা খান নামক একজন গোত্র প্রধান মুঘলদের নিকট এখানে আশ্রয় পান। সেই থেকে চাকমারা ও পরবর্তিতে অন্য আদিবাসীরা এই অঞ্চলে বসতি স্থাপন করে। অন্য আদিবাসীদের ভিতর বোম, চাক, খুমি, খেয়াং, লুসাই, মো, মুরাং, পাঙ্কু, সান্তাল, মনিপুরিরা প্রধান।
ভৌগোলিক সীমানা :

রাঙ্গামাটির মোট আয়তন ৬১১৬.৩ বর্গ কি.মি।এটি বাংলাদেশের বৃহত্তম জেলা। এ জেলা উত্তরে ভারতের ত্রিপুরা, দক্ষিণে বান্দরবান জেলা পূর্বে ভারতের মিজোরাম প্রদেশ এবং মায়ানমারের চীন প্রদেশ ও পশ্চিমে খাগড়াছড়ি এবং চট্টগ্রাম জেলা দ্বারা পরিবেষ্ঠিত।
প্রশাসনিক এলাকাসমূহ :
- রাঙ্গামাটি পৌরসভা ৯ টি ওয়ার্ড ও ৩৫ টি মহল্লা নিয়ে গঠিত। শহরের মোট আয়তন ৬৪.৭৫ বর্গ কি.মি। ১৯৮৩ সালে রাঙ্গামাটি একটি পূর্ণাঙ্গ জেলা হিসেবে ঘোষিত হয়। এ জেলায় ১০ টি উপজেলা, ৫০ টি ইউনিয়ন পরিষদ, ১৬২ টি মৌযা ও ১৩৪৭ টি গ্রাম আছে। রাঙামাটি জেলার ১০টি উপজেলা হলোঃ
- কাউখালী
- কাপ্তাই
- জুরাছড়ি
- নানিয়ারচর
- বরকল
- বাঘাইছড়ি
- বিলাইছড়ি
- রাঙ্গামাটি সদর
- রাজস্থলী
- লংগদু
অর্থনীতি:
প্রধান শস্যঃ ধান, পাট, আলু, তুলা, ভুট্টা, সরিষা।
প্রধান ফলঃ আম। কাঁঠাল, কলা, আনারস, লিচু, কালজাম।
শিল্প কারখানাঃ চন্দ্রঘোনা কাগজের কল, রেয়ন কল, প্লাইউড কারখানা, জল-বিদ্যুৎ প্রকল্প, ঘাগড়া বস্ত্র কারখানা।
কুটির শিল্পঃ তাঁত, কামার, কাঠের কাজ, স্বর্ণকার, ঢালাই ইত্যাদি।
প্রধান রপ্তানিঃ কাঁঠাল, আনারস, বনজ পন্য, কাঠ।
ঐতিহাসিক স্থানসমূহঃ
- কাপ্তাই হ্রদ
- রাজা জং বসাক খানের দীঘি ও মসজিদ
- রাজা হরিশ চন্দ্র রায়ের আবাসস্থলের ধবংসাবশেষ
- ঝুলন্ত সেতু
- বুদ্ধদের প্যাগোডা
- রাজবন বিহার
- শুভলং ঝর্ণা
- সাজেক
0 Comments