ঝালকাঠি জেলা

jalokati District of Barisal Division in Bangladeshঝালকাঠি জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের বরিশাল বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল।


নামকরণের ইতিহাস :

ঝালকাঠি পূর্বে বরিশাল জেলার অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১ এপ্রিল ১৮৭৫ সালে ঝালকাঠি পৌরসভার গোড়াপত্তন হয়। [৩] ব্রিটিশ শাসনামলে ১৭ জন মুসলমান, সেনাবাহিনী কর্তৃক কুলকাঠিতে নিহত হন। স্থানীয় দাঙ্গা নিরসন ও শৃঙ্খলা প্রদানের জন্য ১৮৮২ সালে ঝালকাঠিতে একটি পুলিশ থানা স্থাপন করা হয়। নদী বন্দরের জন্য ঝালকাঠি সবসময় ইউরোপীয়দের আকর্ষণ করেছে। ফলে বিভিন্ন সময়ে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি, ডাচ ও ফরাসিরা এখানে ব্যবসা কেন্দ্র খুলেছিল। বানিজ্যিক গুরুত্বের জন্য ঝালকাঠিকে দ্বিতীয় কলকাতা বলা হত। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ঝালকাঠি সদর উপজেলার রেজাউল করিম ২৪ সদস্য বিশিষ্ট মানিক বাহিনী গড়ে তোলেন। কিছু স্থানীয় রাজাকার এর সহায়তায় ১৬ই জুন ১৯৭১ সালে পাক-হানাদার বাহিনী তাদের হত্যা করে। ২৭শে এপ্রিল হানাদার বাহিনী ঝালকাঠি শহরে আগুন ধরিয়ে দেয় ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের পরে ১৯৭২ সালের ১ জুলাই, ঝালকাঠি থানাকে বরিশাল জেলার মহকুমায় উন্নীত করা হয়। [৩] ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৪ সালে প্রশাসনিক সুবিধার জন্য ঝালকাঠি থানাকে বরিশাল জেলা থেকে পৃথক করে পূর্ণাঙ্গ জেলায় পরিণত করা হয়।

ভৌগোলিক সীমানা :

এ জেলার মোট আয়তন ৭৫৮.০৬ বর্গ কিমি। ঝালকাঠির উত্তর-পূর্বে বরিশাল, দক্ষিণে বরগুনা ও বিশখালি নদী, এবং পশ্চিমে লোহাগড়া ও পিরোজপুর জেলা।

প্রশাসনিক এলাকাসমূহ :

ঝালকাঠি জেলা ৪টি উপজেলায় বিভক্ত। এগুলো হলো:
চিত্তাকর্ষক স্থান :

কুটির শিল্প:
সুজাবাদ কেল্লাঘোষাল রাজবাড়ী, পুরাতন পৌরসভা ভবন, মাদাবর মসজিদসুরিচোরা জামে মসজিদ। নেছারাবাদ মাদ্রাসা্‌, গাবখান সেতু

 নদ-নদী :

বিশখালি, সুগন্ধা, ধানসিড়ি, গাবখান, জাংগালিয়া ও বাসন্ডা। ইত্যাদি।