চাঁদপুর জেলা

Chandpur District of Chittagong Division in Bangladesh 

চাঁদপুর জেলা : চাঁদপুর জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রাম বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। মেঘনা নদীর তীরে এ জেলা অবস্থিত। চাঁদপুরের মানুষ আতিথেয়তার জন্য বিখ্যাত।


ভৌগোলিক সীমানা :


চাঁদপুর জেলা ১৭০৪.০৬ বর্গ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে গঠিত। এটি উত্তরে মুন্সিগঞ্জ এবং কুমিল্লা, দক্ষিণে নোয়াখালী, লক্ষীপুর, বরিশাল জেলা, পূর্বে কুমিল্লা জেলা এবং পশ্চিমে মেঘনা নদী ও শরিয়তপুর এবং মুন্সিগঞ্জ জেলা দ্বারা বেষ্টিত। চাঁদপুর জেলা বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য দুটি নদীর মিলনস্থলে অবস্থিত। পদ্মা ও মেঘনা নদী দুটি চাঁদপুর শহরের কাছে এসে মিলেছে। মেঘনা নদী ডাকাতিয়া নদী, ধোনাগোদা নদী ও মতলব নদীর সাথে যুক্ত।

জনসংখ্যা

মোট: ২২,১০,১৬২ জন, তন্মধ্যে পুরুষ:৪৮.৬৭%, এবং মহিলা: ৫১.৩৩% জন। ধর্মের বিচারে এর মধ্যে মুসলমান: ৯২.৫৫%, হিন্দু: ৭.১৮%, বৌদ্ধ: ০.০৬%, খ্রিস্টান: ০.০৭% এবং অন্যান্য: ০.১৪% রয়েছেন।

প্রশাসনিক এলাকাসমূহ :


চাঁদপুরে ৮ টি পৌরসভা, ৬০ টি ওয়ার্ড, ২৭৫ টি মহল্লা, ৮ টি উপজেলা, ৮ টি পুলিশ থানা,২ টি নৌ থানা ১ টি কোস্ট গার্ড স্টেশন,১ টি রেল থানা,৮৭ টি ইউনিয়ন পরিষদ এবং ১২২৬ টি গ্রাম রয়েছে। এই জেলা আটটি উপজেলা নিয়ে গঠিত; এগুলো হচ্ছে:-
    • চাঁদপুর সদর উপজেলা
    • হাজীগঞ্জ উপজেলা
    • কচুয়া উপজেলা
    • ফরিদগঞ্জ উপজেলা
    • মতলব উত্তর উপজেলা
    • মতলব দক্ষিণ উপজেলা
    • হাইমচর উপজেলা
    • শাহরাস্তি উপজেলা
জেলার ৮টি পৌরসভা হলো:
  • চাঁদপুর পৌরসভা
  • হাজীগঞ্জ পৌরসভা
  • শাহরাস্তি পৌরসভা
  • ফরিদগঞ্জ পৌরসভা
  • কচুয়া পৌরসভা
  • ছেঙ্গারচর পৌরসভা
  • মতলব পৌরসভা
  • নারায়ণপুর পৌরসভা

অর্থনীতি :


চাঁদপুর জেলার অর্থনীতি মূলত কৃষিভিত্তিক। নদীতীরবর্তী এলাকা বলে প্রায় ৩০% মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মৎস্য শিল্পের সাথে জড়িত। তাছাড়াও উল্লেখযোগ্যভাবে অনেক ব্যবসায়ী বিদ্যমান। জেলা সদরে অনেক মাছের আড়ত রয়েছে, যা জেলার অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি তাছাড়া শহরের বাবুরহাটে বড়বড় বহু শিল্পকারখানা রয়েছে।এ জায়গাটিকে সরকার বিসিক শিল্প নগরী ঘোষনা করে।এ এলাকাটি শুধু চাঁদপুরের নয় পুরো বাংলাদেশের অর্থনীতির একটি আশীর্বাদস্বরূপ শিল্প নগরী। মেঘনার ভাঙ্গনে প্রতি বছর চাঁদপুরের আয়তন কমে গেলেও মেঘনা, চাঁদপুরের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ। প্রতি বর্ষায় পানিতে ডুবে যায়, ফলে বর্ষাকালে চাঁদপুর মাছের মাতৃভূমি হয়ে যায়। জেলার প্রধান শস্য ধান, পাট, গম, আখ। রপ্তানী পণ্যের মধ্যে রয়েছে নারিকেল, চিংড়ি, ইলিশ মাছ,সবুজ সবজি,বিসিক নগরীর তৈরি পোশাক শিল্প

ঐতিহাসিক স্থানসমূহঃ


  • ফাইভ স্টার পার্ক
  • বড়স্টেশন মোলহেড নদীর মোহনা (চাঁদপুর সদর)
  • জেলা প্রশাসকের বাংলোয় অবস্থিত দুর্লভ জাতের নাগলিঙ্গম গাছ।
  • চাঁদপুর জেলার ঐতিহ্যের প্রতীক ইলিশ চত্বর।
  • প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ এলাকা
  • মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন মুক্তিযুদ্ধের স্মারক।
  • চাঁদপুর চিড়িয়াখানা, সাচার।
  • মত্‍স্য জাদুঘর,চাঁদপুর।
  • সরকারী বোটানিকাল গার্ডেন,চাঁদপুর।
  • সরকারী শিশু পার্ক
  • হাজীগঞ্জ বড় মসজিদ(৬ষ্ঠ বৃহত্তম)
  • প্রাচীন স্থানসমূহে উল্লেখিত স্থান
  • মেঘনা-পদ্মার চর
  • গুরুর চর
 প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব :

  • লে. কর্নেল (অব.) আবু ওসমান চৌধুরী
  • মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম, বীর উত্তম
  • ড. মহিউদ্দীন খান আলমগীর
  • মিজানুর রহমান চৌধুরী, সাবেক প্রধানমন্ত্রী
  • অশ্বিনী কুমার চক্রবর্তী
  • হাশেম খান, বরেণ্য চিত্রশিল্পী
  • এম বি মানিক চিত্র পরিচালক, (বিএফডিসি)
  • নাসির উদ্দিন, সম্পাদক, সওগাত
  • ড. মুনতাসীর মামুন, অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
  • নূরজাহান বেগম, সম্পাদক, মাসিক বেগম
  • সুরেন্দ্রনারায়ণ চৌধুরী, জমিদার, ফরিদগঞ্জ জমিদার বাড়ি
  • মেজর জেনারেল(অবঃ)সামসুল হক- প্রাক্তন মন্ত্রী
  • মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া-প্রাক্তন মন্ত্রী
  • নুরুল হুদা-প্রাক্তন মন্ত্রী
  • ডা. দীপু মনি-পররাষ্ট্র মন্ত্রী
  • রাশেদা বেগম হীরা-সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদ, নারীনেত্রী
  • এম সবুর খান- বিশিষ্ট ব্যবসায়ী
  • বোরহান উদ্দিন খান জাহাঙ্গীর
  • অভিনেতা দিলদার
  • অভিনেত্রী দিলারা জামান
  • এসডি রুবেল
  • শাইখ সিরাজ (গণ মাধ্যম ব্যক্তিত্ব, চ্যানেল আইয়ের পরিচালক ও বার্তা প্রধান)
  • কবির বকুল, গীতিকার ও সাংবাদিক
  • হুমায়ূন কবীর ঢালী, কথাসাহিত্যিক

নদ-নদী :


চাঁদপুর জেলা নদীর জেলা হিসেবে পরিচিত।এখানে জালের মতো বিস্তৃত আছে অনেক নদী।এখানে ৮ টি নদী আছে যা অন্য যে কোনো জেলা থেকে অনেক বেশি। নদীগুলো হচ্ছে:
  • মেঘনা নদী
  • পদ্মা নদী
  • ডাকাতিয়া নদী
  • গোমতী নদী
  • ধনাগোদা নদী
  • মতলব নদী
  • উধামধি নদী
  • চারাতভোগ নদী