পটুয়াখালী জেলা

নামকরণের ইতিহাস :
Patuyakhali District of Barisal Division in Bangladesh
ঐতিহাসিক ঘটনাবলি থেকে জানা যায যে, পটুয়াখালী চন্দ্রদ্বীপ রাজ্যের অন্তর্ভক্ত ছিল। পটুয়াখালী নামকরণের পিছনে প্রায় সাড়ে তিনশত বছরের লুন।টন অত্যাচারের ইতিহাস জড়িত আছে বলে জানা যায়। পটুয়াখালী শহরের উত্তর দিক দিয়ে প্রবাহিত নদীটি পূর্বে ভরনী খাল নামে পরিচিত ছিল। ষোড়শ শতাব্দীর শুরু থেকে পর্তুগীজ জলদস্যুরা এই খালের পথ দিয়ে এস সন্নিহিত এলাকায় নির্বিচারে অত্যাচার হত্যা লুন্ঠন চালাত। স্থানীয় লোকেরা এই হানাদারদের 'নটুয়া' বলত এবং তখন থেকে খালটি নটুয়ার খাল নামে ডাকা হয়। কথিত আছে, এই "নটুয়ার খাল" খাল থেকে পরবর্তীতে এ এলাকার নামকরণ হয় পটুয়াখালী।

প্রশাসনিক এলাকাসমূহ : 


পটুয়াখালী জেলায় ৮টি উপজেলা রয়েছেঃ

ভৌগোলিক সীমানা :

উত্তরে চাঁদপুর, মাদারিপুর ও শরিয়তপুর জেলা; দক্ষিণে ঝালকাঠি , বরগুনা ও পটুয়াখালী জেলা; পূর্বে লক্ষীপুর , ভোলা জেলা ও মেঘনা নদী এবং পশ্চিমে পিরোজপুর, ঝালকাঠি ও গোপালগঞ্জ জেলা অবস্থিত।

অর্থনীতি :

প্রাকৃতিক সম্পদ মৎস: পটুয়াখালী জেলা মৎস সম্পদে সমৃদ্ধ। নদী বিধৌত পটুয়াখালী জেলার খাল-বিল, পুকুর, নালা, নিম্নভূমি গুলো মৎস সম্পদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই জেলার নদী মোহনাগুলো ইলিশ মাছের জন্য বিখ্যাত। বনভূমি: পটুয়াখালী জেলার বনাঞ্চলের পরিমাণ খুবই কম। যেখানে বাংলাদেশের মোট ভূমির ১৫% বনভূমি সেখানে পটুয়াখালী জেলার মাত্র ২% বনাঞ্চল। বনাঞ্চলের উল্লেখযোগ্য গাছের নাম কেওড়া, গেওয়া, কাকড়া, বাবুল গোলপাতা ইত্যাদি। শিল্প ও ব্যবসা বানিজ্যঃ ১। কুটির শিল্প ২। মৃৎশিল্প ৩। পাট শিল্প ৪। বিড়ি শিল্প ৬। মাছের ব্যবসা ৭। গাছের ব্যবসা ৮। চাল ও ডালের ব্যবসা।

পটুয়াখালীতে ব্যাবসা-বানিজ্য দিন-দিন বিকশিত হচ্ছে। এখানে রয়েছে অটো রাইস মিল, রাইস মিল, ইট ভাটা, বিস্কুট ফ্যাক্টরী, সিনেমা হল , ফিলিং স্টেশন, ব্যাংক বীমা প্রতিষ্ঠান। উপজেলার অনেকলোক ব্যবসা-বাণিজ্যের সাথে জড়িত।

চিত্তাকর্ষক স্থান :

প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব :